অমরত্বের চাবি পেয়ে গেল বিজ্ঞনীরা! সমুদ্রের নিচে লুকিয়ে রয়েছে প্রকৃতির এক বিস্ময়
অমরত্ব - মানবজাতির বহুদিনের আকাঙ্ক্ষা। জন্ম মানেই মৃত্যু, এই চিরন্তন সত্যকে বদলাতে চেয়েছেন বহু বিজ্ঞানী। হাজারো ওষুধ, গবেষণা, সাধনা—সবই ব্যর্থ। তবু প্রকৃতির খেলায় কোথাও যেন রয়ে গেছে সেই অমরত্বের ছোঁয়া। আর এবার বিজ্ঞানীরা তারই এক জীবন্ত প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন—সমুদ্রের গভীরে।
জীবজগতের বিস্ময়কর সদস্যদের মধ্যে অন্যতম হল একটি বিশেষ প্রজাতির জেলিফিশ, যার নাম ইমমরটাল জেলিফিশ বা অমর জেলিফিশ। বিজ্ঞানীরা একে বলছেন প্রকৃতির ‘চিরন্তন বাসিন্দা’। কারণ, এই জেলিফিশ নিজের জীবনের পরিণতি নিজেই বদলে দেয়। কীভাবে? সেটা শুনলে অবাক না হয়ে উপায় নেই!
অমর জেলিফিশ নিজেই নিজের স্পার্ম বা ডিম তৈরি করতে পারে। যখন একটি নতুন জীবন জন্ম নেয়, তখন পুরনো দেহ ছেড়ে সে নিজের সত্তাকে সেই নবজাত দেহে স্থানান্তর করে নেয়। এই প্রক্রিয়ায় সে যেন মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়ে নতুন জীবন নিয়ে আবার ফিরে আসে। বছরের পর বছর, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম—এইভাবে সে অবিরাম বেঁচে থাকতে সক্ষম হয়।
জেলিফিশের দেহের গঠন এবং জলের মধ্যে তাদের স্বাভাবিক চলাফেরা এই জীবনচক্রকে সহজ করে তোলে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এমন গঠনই তাদের বারবার নতুন দেহে প্রবেশ করতে সহায়তা করে। প্রকৃতপক্ষে, এটি এমন এক প্রক্রিয়া, যাকে প্রকৃতির অমরত্বের উপহার বলা চলে।
এই অদ্ভুত জীবনচক্র এখন বিজ্ঞানীদের কাছে অমরত্ব নিয়ে নতুন চিন্তার দরজা খুলে দিয়েছে। যদি একটি সামুদ্রিক প্রাণী বারবার নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারে, তবে ভবিষ্যতে হয়তো মানুষের ক্ষেত্রেও এইরকম কিছু সম্ভব হতে পারে। গবেষণায় এই ধারণাকে ঘিরে কাজ শুরু হয়েছে। অমর জেলিফিশের রহস্য উদ্ঘাটনের মধ্য দিয়েই হয়তো একদিন মানুষের দীর্ঘজীবন বা অমরত্বের স্বপ্ন পূরণ হবে।
0 Comments