Ad Code

আইসোটোপ(Isotope) কাকে বলে | বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার

আইসোটোপ(Isotope) : 

একই মৌলের বিভিন্ন পরমাণুর পরমাণু ক্রমাঙ্ক এক কিন্তু নিউক্লিয়াসে নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন  থাকার জন্য ভরসংখ্যা আলাদা হলে, তাদের পরস্পরকে আইসোটোপ বা সমস্থানিক বলে। 

গ্রিক ভাষায় 'Iso' শব্দের অর্থ হল সমান এবং 'Topos' শব্দের অর্থ হল অবস্থান।

আইসোটোপগুলি পর্যায় সারণিতে একই ঘরে অবস্থান করে বলে এদের সমস্থানিক বলা হয়।

উদাহরণ: ক্লোরিনের দুটি আইসোটোপ হল 17Cl³⁵ এবং 17Cl³⁷ এই দুটি পরমাণুর পরমাণু ক্রমাঙ্ক সমান অর্থাৎ 17, কিন্তু ভরসংখ্যা আলাদা। 

প্রথম পরমাণুটিতে নিউট্রন সংখ্যা (35-17) = 18টি এবং দ্বিতীয় পরমাণুতে নিউট্রন সংখ্যা (37 - 17) = 20 টি তাই এরা পরস্পর আইসোটোপ।


আইসোটোপের ধর্ম (Properties of Isotope):

(i) এদের রাসায়নিক ধর্ম এক হয়।

(ii) এরা পর্যায়সারণিতে একই জায়গায় অবস্থান করে।

(iii) এদের পরমাণু ক্রমাঙ্ক একই, কিন্তু ভরসংখ্যা আলাদা।


আইসোটোপের ব্যবহার (Uses of Isotope):

(i) চিকিৎসাবিজ্ঞানে ক্যানসার ও টিউমারের চিকিৎসায় তেজস্ক্রিয় আয়োডিন আইসোআইসোটোপ (I¹³¹) ব্যবহার করা হয়।

(ii) কৃষিক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও রোগ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়।

(iii) তেজস্ক্রিয় কার্বন (C¹⁴) আইসোটোপের সাহায্যে পুরাতন শিলা, গাছ এবং পৃথিবীর বয়স নির্ণয় করা যায়।

(iv) বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতিপ্রকৃতি নির্ণয়ের জন্য তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ( C¹³, N¹⁵, O¹⁸, S³⁵ ইত্যাদি) ব্যবহার করা হয়।

Post a Comment

0 Comments

Close Menu