Gap Junction (গ্যাপ জাংশন)
সংলগ্ন দুটি কোশের কোশপর্দা যে প্রোটিন চ্যানেলের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে তাকে গ্যাপ জাংশন (Gap Junction) বলে।
সংলগ্ন দুটি কোশ পরস্পর থেকে কিছু দুরত্বে অবস্থান করে কিন্তু তাদের মধ্যে একটি বিশেষ প্রোটিন দিয়ে তৈরি চ্যানেলের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে। এই বিশেষ ধরনের সংযোগস্থলে গ্যাপ থাকে বলে একে গ্যাপ জাংশন বলে।বিশেষ প্রোটিন যেমন কানেক্সিন (connexin) ( মেরুদণ্ডী প্রানিতে) ও ইনেক্সিন(Innexin) (অমেরুদণ্ডী প্রানীতে) 6 টি করে মনোমার নিয়ে একটি ফুলের গঠন তৈরি করে যা কনেক্সন নামে পরিচিত। এই গুলি প্রোটিন চ্যানেল তৈরি করে।
কনেক্সনগুলি খুলতে ও বন্ধ হতে পারে যখন সাইটোপ্লাজমীয় পদার্থ এক কোশ থেকে অন্য কোশে যায় তখন কনেক্সন খোলা থাকে ও যখন সাইটোপ্লাজমীয় পদার্থের আদানপ্রদান হয় না তখন বন্ধ থাকে।
অবস্থান:-
1. অ্যভাস্কুলার কলা,
2. চোখের লেন্স
3. রেটিনা
4. হৃৎপেশি কোশ ইত্যাদি
কাজ:-
1. বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও বড়ো অনু র পার্শীয় কোশে স্থানান্তরে গ্যাপ জাংশন বিশেষ ভাবে সাহায্য করে, বিশেষ করে অ্যভাস্কুলার কলাতে যেহেতু রক্তের মাধ্যমে পুষ্টি উপাদান সরবরাহ হয় না তাই গ্যাপ জাংশন এর মাধ্যমে পুষ্টি উপাদান সরবরাহ হয়।
2. বিভিন্ন আয়নের চলাচল এই গ্যাপ জাংশন এর মাধ্যমে হয়ে থাকে।
3. ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল এর প্রবাহ গ্যাপ জাংশন এর মাধ্যমে হয়ে থাকে যেমন ইলেকট্রিক্যাল সাইন্যাপস এ এই ধরনের চলাচল দেখা যায়, হৃৎপিন্ডের স্পন্দন গ্যাপ জাংশন এর মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহন হয়।
4. এছাড়া কোশকে দৃড়তা প্রদান করে গ্যাপ জাংশন।
গ্যাপ জাংশন এর প্রোটিনে মিউটেশন:-
গ্যাপ জাংশন এর প্রোটিনে মিউটেশন এর ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ বা সিন্ড্রোম দেখা যায় যেমন
1. ক্যাটারাক্ট
0 Comments