Ad Code

PEM(Protein Energy Malnutrition)or PCM(Protein Calori Malnutrition)or কোয়াশিওরকর (KWashiorkor) or Marasmus(ম্যারাসমাস) Causes, Symptoms and Control

 PEM or PCM or কোয়াশিওরকর (KWashiorkor) or Marasmus(ম্যারাসমাস) Causes, Symptoms and Control 


PEM(Protein Energy Malnutrition) বা প্রোটিন- শক্তি অপুষ্টি বা প্রোটিন- ক্যালোরি অপুষ্টি--

মানব বিকাশে পুষ্টি উপাদানের গুরুত্ব উল্লেখযোগ্য। প্রতিদিন মানুষের নির্দিষ্ট পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট,প্রোটিন, ফ্যাট,ভিটামিন ইত্যাদি খাদ্য উপাদানগুলো আবশ্যক, তা না হলে মানব দেহে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়, একে অপুষ্টি বলা হয়। এর মধ্যে PEM খুবই মারাত্মক।

প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় উপযুক্ত পরিমাণ প্রোটিন জাতীয় খাদ্য অথবা শক্তি উৎপাদনকারী খাদ্য কিংবা উভয়ের অভাবে শিশুদের ( 1 থেকে 6 বছর) যে অপুষ্টি দেখা যায় তাকে PEM(Protein Energy Malnutrition) বা PCM(Protein Caloric Malnutrition) বা প্রোটিন- শক্তি অপুষ্টি বা প্রোটিন- ক্যালোরি অপুষ্টি বলে

PEM বা PCM এর কারনে সাধারণত 2 ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়।
🔎1. Marasmus(ম্যারাসমাস): -
সংজ্ঞা( Definition): সাধারণত 6 মাস থেকে দেড় বছর বয়েসের শিশুদের প্রােটিন ও শক্তি (ক্যালােরি) উভয়ের ঘাটতির ফলে যে রােগলক্ষণ প্রকাশ পায় তাকে ম্যারাসমাস বলে।
রোগের কারন(Causes):-
i) অতিরিক্ত দরিদ্রতার (Proverty) কারণে অভিভাবকরা তাদের শিশুকে সঠিক পুষ্টিসম্পন্ন খাদ্য দিতে পারেন না।
ii) স্বল্প ব্যবধানে অপর সন্তান প্রসব।
iii) শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান না  করানাে।
iv) দুগ্ধবতী মাতার অপুষ্টির কারনে।

✔ রােগের লক্ষণ (Symptoms)
i) দেহের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়।
ii) দেহের ওজন বয়েসের তুলনায় কম হয়।
iii) ত্বকের নীচে ফ্যাট না থাকায় ত্বক শিথিল ও কুঞ্চিত   হয়।
iv) শিশু খাদ্য পরিপাকঘটিত সমস্যা (বদহজম, উদরাময়, পেট ফাঁপা) দেখা যায়।
v) শিশুর সক্রিয়তা অনেক কম হয়।
vi) অ্যানিমিয়া দেখা যায়।


✔ প্রতিকার(Control):
i) শিশুকে প্রয়ােজন মতাে মাতৃদুগ্ধ পান করাতে হবে।
ii) ছয় মাসের বেশি বয়স্ক শিশুকে উপযুক্ত ক্যালােরি সম্পন্ন সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে।
iii) খাদ্য তালিকায় প্রােটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।
iv) খাদ্য তালিকায় প্রয়ােজন মতাে খনিজ লবণ, ফ্যাট, ভিটামিন (B12, ফোলিক অ্যাসিড, A ইত্যাদি) সরবরাহ করতে হবে।

🔎2. কোয়াশিওরকর (Kwashiorkor) :-
✔সংজ্ঞা : সাধারণত 2 থেকে 4 বছর বয়স্ক শিশুদের উপযুক্ত পরিমাণ প্রােটিন সমৃদ্ধ খাদ্যের অভাবে যে উপসর্গ দেখা যায়, তাকে কোয়াশিওরকর
বলে।
জামাইকার পেডিয়াট্রিসিয়ান Cicely William (1935) প্রথম এই ‘কোয়াশিওরকর’ শব্দটি ব্যবহার করেন।

✔রােগের কারণ (Causes) :
i) খাদ্যে উপযুক্ত পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট থাকলেও প্রয়ােজনীয় প্রােটিন না থাকার জন্য এই রােগ হয়। এটি শুধুমাত্র প্রোটিনের অভাবে হয়ে থাকে ।
ii) বিভিন্ন পরিপাককারী উৎসেচকের ক্ষরণের মাত্রা বিঘ্নিত হলে।
iii) দরিদ্রতা বা অজ্ঞতা ও ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসের ফলেও এই রােগ হয়।


✔রোগের লক্ষন(Symptoms):-
i) শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং ওজন হ্রাস পায়।
ii) শিশুর পেট ফুলে যায়, রক্তে অ্যালবুমিনের স্বল্পতার জন্য মুখমণ্ডল, হাত, পা-এ শােথ বা ইডিমা (Oedem) পরিলক্ষিত হয়, ফলে জল জমে ফুলে যায়।
iii) অ্যানিমিয়া দেখা যায়।
iv) শিশুর স্বভাব খিটখিটে প্রকৃতির হয়।
v) ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা যায়।
vi) শিশুর ক্ষুধামান্দ্য, অজীর্ণ এবং উদরাময় রােগ দেখা যায়।

✔ প্রতিকার (Control)
(i) শিশুকে প্রােটিন সমৃদ্ধ খাদ্য দিতে হবে।
(ii) শিশুর অভিভাবককে পুষ্টি সংক্রান্ত শিক্ষা দেওয়া।


More related Questions 






Post a Comment

0 Comments

Close Menu